সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও তার পরিবারের সদস্য ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে বিভিন্ন ব্যাংকের ২৭টি হিসাবে থাকা ১৪০ কোটি ১৭ লাখ আট হাজার ৫০ টাকা জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
দুদকের আবেদনে বলা হয়, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অসাধু উপায়ে নিজ ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বর্গের নামে ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১৪৬ কোটি ১৯ লাখ ৭০ হাজার ৯৬ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জনপূর্বক দখলে রাখা এবং ২৯টি ব্যাংক হিসাবে ৩৪৯ কোটি ১৫ লাখ ২১ হাজার ৫৮২ টাকা জমা ও ৩১৬ কোটি ৪৮ লাখ ৮১ হাজার ৬০৮ টাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সন্দেহজনক লেনদেন করে মানিলন্ডারিং-এর সম্পৃক্ত অপরাধ ‘দুর্নীতি ও ঘুস’ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস আড়াল করার উদ্দেশ্যে এসবের রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর করার দায়ে আলোচ্য মামলা দায়ের করা হয়।
দুদকের আবেদনে আরও বলা হয়, তিনি অবৈধ পন্থায় অর্জিত সম্পদ অন্যত্র বিক্রয়, হস্তান্তর বা বেহাত করার প্রচেষ্টায় রয়েছেন। এ কারণে তার নিজ ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের নামীয় নিম্নবর্ণিত ২৭টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন। তার ব্যাংক হিসাবসমূহ অবরুদ্ধ করা না গেলে বিচারকালে তা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হবে না। এতে রাষ্ট্রের অপূরণীয় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১ জানুয়ারি আনিসুল হকের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২০ মার্চ দিন ধার্য রয়েছে। মামলায় আনিসুল হকের বিরুদ্ধে অসাধু উপায়ে আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১৪৬ কোটি ১৯ লাখ ৭০ হাজার ৯৬ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এএজে